
ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে গুজব
বেজমেন্টের পানি সরিয়ে মিলল না কিছুই
- আপলোড সময় : ১০-০২-২০২৫ ০৪:০২:১৭ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১০-০২-২০২৫ ০৪:০২:১৭ অপরাহ্ন


ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অর্ধেকের বেশি গুঁড়িয়ে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি লাগোয়া একটি নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্টে জমে থাকা পানি সরিয়ে কিছুই মেলেনি।
গতকাল রোববার বিকালে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের ডিউটি অফিসার মো. কাউসার আহমেদ বলেন, আমাদের ইউনিটগুলো পানি সরিয়ে ফেরত এসেছে। আমরা পানি সরিয়ে দেখেছি, ওখানে কিছু ছিল না।
গত বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙা শুরুর পরদিন ওই বেজমেন্টের ছবি আর ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ‘আয়নাঘর’ বা বন্দিশালা আছে- এমন কথাও চাউর হয়। এরপরই জমে থাকা পানি সরানোর দাবি ওঠে।
কয়েকদিন ধরে আলোচনার মধ্যেই রোববার সকাল ৯টার দিকে ভবনের বেজমেন্ট থেকে পানি সরানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট।
নির্মাণাধীন ওই ভবনটি শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের মধ্যেই, অনেকে বলছেন, সেটি আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ভবন।
শেখ হাসিনার পতন ও দেশত্যাগের ছয় মাস পূর্তির দিন ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি থেকে ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার দিনভর সেখানে লুটপাটের পর বিকালে গরু জবাই করে বিরিয়ানি রান্না সেরে রাতে হয় জেয়াফতের আয়োজন।
ওইদিন থেকে ভবন দুটির ভাঙা স্তূপ থেকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রড বের করে কেটে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
কেউ কেউ ভবনের দাঁড়িয়ে থাকা অংশেই রোডের খোঁজে হাতুড়ি চালিয়েছেন, আবার কেউ ফাঁকা অংশের মাটি খুড়ে বের করে নিয়েছেন বৈদ্যুতিক তার।
বুলডোজার কর্মসূচি কেবল ঢাকায় থেমে থাকেনি। বুধবার রাত থেকে জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ পরিবারের নামে থাকা ভাস্কর্য ও ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে। অনেক জেলায় দলীয় কার্যালয়ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ